আমার প্রভুর পক্ষ হতে একজন আগমনকারী (ফিরেশতা) আগমন
করবেন এবং তিনি (আল্লাহর পক্ষ থেকে) আমাকে এ দুয়ের মধ্যে একটির
স্বাধীনতা প্রদান করলেন।
হয়ত আমার উম্মতের অর্ধেক সংখ্যা বেহেশতে
প্রবেশ করুক বা আমি (উম্মতের জন্যে) শাফায়াতের সুযোগ গ্রহণ করি?
অতঃপর আমি শাফায়াত গ্রহণ করলাম।
অতএব, যারা আল্লাহপাকের
সাথে শিরক না করে মৃত্যুবরণ করেছে, তাদের জন্য আমার শাফায়াত
কার্যকর হবে।
(তিরমিযী ও ইবনে মাজাহ)
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত,
নবী করীম (সাঃ) বর্ণনা
করেন,
আমার শাফায়াত লাভে কিয়ামতের দিন ঐ ব্যক্তিই সর্বাপেক্ষা সৌভাগ্যবান হবে, যে তার হৃদয় হতে একান্ত নিষ্ঠা সহকারে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু বলেছে (বোখারী শরীফ)
হাশর ময়দানে বিপুল সংখ্যক বড় বড় হাউজ থাকবে। নবী করীম
(সঃ) বলেন, প্রত্যেক নবীর জন্যই এক একটি হাউজ থাকবে। আর
প্রত্যেক নবীই যার পানকারীদের সংখ্যা বেশি হবে সেজন্য গৌরব বোধ
করবেন।
প্রত্যেক নবীর হাউজ থেকে তার নিজ নিজ উম্মতগণ পানি পান
করবে। আমি আশা করি সর্বাধিক সংখ্যক লোক আমার কাছে পানি পান
করার জন্য আসবে (কারণ অন্যান্য নবীর উম্মতের তুলনায় উম্মতে
মুহাম্মদীর সংখ্যা হবে সর্বাধিক)। (তিরমিযী শরীফ)
হযরত আনাস (রা) বলেন, আমি নবী করীম (সঃ)-এর কাছে জিজ্ঞেস
করলাম,
আপনি কি কেয়ামতের দিন আমার জন্য সুপারিশ করবেন?
নবী
করীম (সঃ) বললেন, হাঁ; আমি তোমার জন্য সুপারিশ করব।
আমি আরয
করলাম, হাশর ময়দানে আমি আপনাকে কোথায় সন্ধান করব?
তিনি
বললেন, প্রথমত আমাকে পুলসেরাতের কাছে সন্ধান করবে।
আমি আবার
জিজ্ঞেস করলাম, সেখানে আপনাকে না পেলে কোথায় সাক্ষাত করব?
তিনি বলেন 'আমলনামা পরিমাপের জন্য দাঁড়িপাল্লার স্থানে সন্ধান করবে
আমি বললাম, সেখানেও না পেলে আমি আপনার সাক্ষাতের জন্য কোথায়
যা।
তখন নবী করীম (সঃ) বললেন, হাউজে কাওছারের কাছে আমাকে সন্ধান করবে।
এ তিনটি স্থানের কোন একটি স্থানে অবশ্যই আমাকে পবে। (তিরমিযী, মেশকাত শরীফ)
0 মন্তব্যসমূহ